সেই সব ঘটনা

মূলঃ সিলভিয়া প্লাথ (২১শে মে, ১৯৬২)

(শাফিনূর-কে)

শেষে সবকিছুই কিভাবে যেন জমে শক্ত হ’য়ে যায়!-
চাঁদের আলো, ওই খাড়া পাহাড়
যার উপত্যকার ফাটলে পিঠে পিঠ ঠেকিয়ে

শুয়ে থাকি আমরা। একটা পেঁচা কাঁদে
ওর ওই ধোঁয়া ধোঁয়া নীল ঠান্ডাটুকু ফুঁড়ে।
অসহ্য কিছু শব্দ আমার হৃত্‌পিন্ডের ভিতর ঢুকে যায়, স্বরধ্বনি।

শাদা ক্রিবটায় বাচ্চাটা ঘুরপাক খেয়ে খেয়ে একসময় দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
মুখটা একটু খোলে, কিছু যেন চায়।
ওর ছোট মুখটা লাল রঙের কাঠ আর ব্যাথায় খোদাই ক’রা।

তারপর তারা জ্বলে – পাষাণহৃদয় সব তারা, কিছুতেই মোছা যায় না যে সেইসব তারা।
অল্প একটু কেবল ছোঁয়া - তারা জ্বলে, ক্লান্ত তারা।
আমি তোমার চোখ দেখতে পাই না।

আপেলফুল বরফে ঢেকে দেয় রাত, আর আমি সেই অন্ধকারে
এক গোল বৃত্তের পথেই হেঁটে যাই,
খাঁজে আটকে থাকে পুরনো কিছু ভুল, গভীর ক্ষত, তিক্ত পাপ।

কিছুতেই প্রেম এখানে আসে না।
অন্য এক প্রান্তে
একটা অন্ধকার ফাটল শুধু নিজে নিজেই খুলে যায়

ছোট শাদা লার্ভা নড়েচড়ে ওঠে, হাত নাড়ে ভ্রুণ, একটা শিশুর আত্মা।  
আমার শরীরও আমাকে ছেড়ে চলে যায়,
ওরা কারা? ছিঁড়ে খুঁড়ে ফেলছে হাত-পা?

অন্ধকার গলে গলে পড়ে। আর আমরা একজন আর একজনকে ছুঁই
পঙ্গুর মত।





মন্তব্যসমূহ



কল্যাণী রমা-র জন্ম ঢাকায়। ছেলেবেলা কেটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভারতের খড়গপুর আই আই টি থেকে ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কমুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং-এ বি টেক করেছেন । এখন আমেরিকার উইস্কনসিনে থাকেন। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সিনিয়র ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কাজ করছেন ম্যাডিসনে।
প্রকাশিত বই -
আমার ঘরোয়া গল্প;
হাতের পাতায় গল্পগুলো – ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা;
রাত বৃষ্টি বুনোহাঁস – অ্যান সেক্সটন, সিলভিয়া প্লাথ, মেরি অলিভারের কবিতা;
মরণ হ’তে জাগি – হেনরিক ইবসেনের নাটক;
রেশমগুটি;
জলরঙ;
দমবন্ধ।