বেলুন

    মূলঃ সিলভিয়া প্লাথ
    অনুবাদঃ কল্যাণী রমা

    খ্রীস্টমাস থেকে ওরা আমাদের সাথে আছে,
    ছলনাহীন এবং স্বচ্ছ,
    দেখতে ডিম্বাকার, আত্মার প্রাণী,
    প্রায় অর্ধেক জায়গা নিয়ে নিচ্ছে,
    সিল্কের গায়ে নড়েচড়ে গা ঘষছে

    অদৃশ্য বাতাসের ঝটকা,
    আক্রমণ করলেই এক চীত্‌কার দিয়ে ফেটে যাচ্ছে,
    বিশ্রাম নিতে পালিয়ে যাচ্ছে, অল্প কাঁপছে।
    হলুদ বিড়ালের মাথা, নীল মাছ--
    মৃত আসবাবপত্রের বদলে কি অদ্ভুত চাঁদদের সাথে
    আমরা বাস করি!

    খসখসে পাপোষ, শাদা দেওয়াল
    আর এইসব ভেসে ভেসে বেড়ানো হাওয়াভরা গোলক,
    লাল, সবুজ
    হৃতপিন্ডকে আনন্দে ভ’রে দিচ্ছে স্বপ্ন দিয়ে

    কিংবা মুক্ত ময়ূরের
    পুরানো মাটিকে আশীর্বাদ ক’রে যাওয়া
    একটা পালক দিয়ে
    তারকাখচিত ধাতুর পাত্রে ক্ষত।
    তোমার ছোটভাই

    তার বেলুনটাকে বিড়ালের মত
    মিউমিউ করাচ্ছে।
    মনে হচ্ছে অন্য পাশে গিয়ে সে একটা হাস্যকর গোলাপি পৃথিবী খেয়ে ফেলবে,
    সে একটা কামড় দেয়,

    তারপর বসে থাকে
    পেটমোটা জগের মত
    জলের মত পরিষ্কার এক
    পৃথিবীর কথা গভীরভাবে চিন্তা করতে থাকে
    ওর ছোট হাতের মুঠোর ভিতর

    একটা লাল টুকরা।

মন্তব্যসমূহ



কল্যাণী রমা-র জন্ম ঢাকায়। ছেলেবেলা কেটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভারতের খড়গপুর আই আই টি থেকে ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কমুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং-এ বি টেক করেছেন । এখন আমেরিকার উইস্কনসিনে থাকেন। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সিনিয়র ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কাজ করছেন ম্যাডিসনে।
প্রকাশিত বই -
আমার ঘরোয়া গল্প;
হাতের পাতায় গল্পগুলো – ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা;
রাত বৃষ্টি বুনোহাঁস – অ্যান সেক্সটন, সিলভিয়া প্লাথ, মেরি অলিভারের কবিতা;
মরণ হ’তে জাগি – হেনরিক ইবসেনের নাটক;
রেশমগুটি;
জলরঙ;
দমবন্ধ।