আন্না-যে কিনা পাগল ছিল

মূলঃ এ্যান সেক্সটন
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

আন্না-যে কিনা পাগল ছিল,
বগলের নীচে একটা ছুরি আছে।
যখন আমি আঙুলের ডগায় ভর দিয়ে দাঁড়াই
তালে তালে খবর ছড়িয়ে দেই।
আমি কি কোন এক ছোঁয়াচে রোগ?...
তোমাকে পাগল করে দিয়েছি?
শব্দগুলোকে কটু?
আমি কি তোমাকে জানালা বেয়ে উঠে
বাইরে চলে যেতে বলেছি?
ক্ষমা করো। ক্ষমা করো।
বলো না যে আমিই এমন করেছি।
বলো না।
বলো।

আমাদের বালিশে মেরীর কথা বলে যেও।
আমাকে-লম্বা, পাতলা, ঢেঙা বারো বছরের মেয়েটাকে
তোমার নিচু হয়ে বসে যাওয়া কোলে তুলে নাও।
বাটারকাপ ফুলের মত ফিসফিস করে কথা বল।
খেয়ে ফেল। আমাকে ক্রিম পুডিং-এর মত খেয়ে ফেল।
আমায় শুঁষে নাও।
আমায় নাও।
নাও।

আমাকে আমার আত্মার অবস্থার একটা রিপোর্ট দাও।
দাও আমার কাজ-কর্মের পুরো বিবৃতি।
একটা জ্যাক-ইন-দ্যা-পালপিট ফুল এনে দাও,
তারপর কান পেতে শুনি।
আমাকে স্টিরাপে আটকে একটা ট্যুর গ্রুপ নিয়ে এস।
বাজারের ফর্দে আমার পাপগুলোকে
এক, দুই নাম্বার দিয়ে
আমায় তা কিনতে দাও।
তোমাকে পাগল করে দিয়েছি?
তোমার ইয়ারফোনের ভল্যিউম বাড়িয়ে দিয়ে
দিয়েছি তার মাঝ দিয়ে সাইরেন চলে যেতে?
আমি কি মোচওয়ালা সাইকিয়াট্রিস্ট-এর জন্য দরজাটা খুলে দিয়েছি?
যে কিনা তোমাকে সোনার তৈরী এক্কা গাড়ির মত টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে?
আমি কি তোমাকে পাগল করে দিয়েছি?
কবর থেকে আমাকে চিঠি লিখ, আন্না!
তুমি ছাই ছাড়া আর কিছুই নও, তবু
আমি তোমাকে যে পার্কার পেনটা দিয়েছিলাম, তা তুলে নাও
আমাকে লিখ।

লিখ।

মন্তব্যসমূহ



কল্যাণী রমা-র জন্ম ঢাকায়। ছেলেবেলা কেটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভারতের খড়গপুর আই আই টি থেকে ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কমুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং-এ বি টেক করেছেন । এখন আমেরিকার উইস্কনসিনে থাকেন। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সিনিয়র ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কাজ করছেন ম্যাডিসনে।
প্রকাশিত বই -
আমার ঘরোয়া গল্প;
হাতের পাতায় গল্পগুলো – ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা;
রাত বৃষ্টি বুনোহাঁস – অ্যান সেক্সটন, সিলভিয়া প্লাথ, মেরি অলিভারের কবিতা;
মরণ হ’তে জাগি – হেনরিক ইবসেনের নাটক;
রেশমগুটি;
জলরঙ;
দমবন্ধ।