সূর্য

মূলঃ অ্যান সেক্সটন
অনুবাদঃ কল্যাণী রমা

শুনেছি কিছু কিছু মাছ
সূর্যের জন্য আসে
তারপর কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে,
চিরদিনের জন্য থেকে যায়,
মাছদের চলার সেই পথ আর কোনদিন ফিরে যায় না,
তাদের সব গর্বিত ছিট ছিট শরীর আর একাকীত্ব
তাদের শরীর শুষে চলে যায়।

আমি মাছিদের কথা ভাবি
যারা তাদের নোংরা গর্ত থেকে
বাইরে বেরিয়ে আসে।
দেখতে ওদের প্রথমে স্বচ্ছ বলে মনে হয়।
তারপর তারা নীল রঙের, তামার পাখা
মানুষের কপালে বসে ঝলমল করতে থাকে।
পাখি নয়, অ্যাক্‌রাব্যাট নয়
ছোট ছোট কালো জুতার মত ওরা শুকিয়ে চিমসে হয়ে যাবে।

আমিও ঠিক ওদের মত।
সর্দি-কাশি আর বাড়ির নোংরা গন্ধে অসুস্থ
জলন্ত ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নীচে জামা কাপড় খুলতে থাকি
সমুদ্রের জলের মত আমার চামড়া চেপ্টা, সমতল হ’য়ে যায়।
হলুদ চোখ,
তোমার তাপে আমায় বিষন্ন হ’তে দাও
যেন জ্বর জ্বর লাগে, যেন ভ্রূকুটিভরে তাকাই
নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছি এখন।
আমি তোমার কন্যা, তোমার নরম আদুরে,
তোমার পুরোহিত, তোমার মুখ, তোমার পাখি
আর আমি ওদের তোমার সব গল্প বলব
যতক্ষণ না আমাকে চিরিদিনের জন্য শুইয়ে দেবে
সরু ধূসর পতাকা এক।

মে, ১৯৬২






মন্তব্যসমূহ



কল্যাণী রমা-র জন্ম ঢাকায়। ছেলেবেলা কেটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভারতের খড়গপুর আই আই টি থেকে ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কমুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং-এ বি টেক করেছেন । এখন আমেরিকার উইস্কনসিনে থাকেন। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সিনিয়র ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কাজ করছেন ম্যাডিসনে।
প্রকাশিত বই -
আমার ঘরোয়া গল্প;
হাতের পাতায় গল্পগুলো – ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা;
রাত বৃষ্টি বুনোহাঁস – অ্যান সেক্সটন, সিলভিয়া প্লাথ, মেরি অলিভারের কবিতা;
মরণ হ’তে জাগি – হেনরিক ইবসেনের নাটক;
রেশমগুটি;
জলরঙ;
দমবন্ধ।