তারা জ্বলা রাত

মূলঃ এ্যান সেক্সটন

শহরটা নেই
শুধু সেইখানে ছাড়া
যেখানে গনগনে আকাশে ডুবে মরেছে যে নারী,
তার মত ভুল পথে উড়ে গেছে  
এক কালো-চুল গাছ।
শহর চুপচাপ। রাত ফুটছে – এগারোটা তারার সাথে, টগবগ।
আহা! তারায় তারা জ্বলা রাত! এভাবেই
আমি মরে যেতে চাই।

ও নড়ছে। জ্যান্ত ওরা সব।
এমন কি চাঁদের পেটও ফুলে উঠছে,
কমলা লোহায় ক্ষত পুড়িয়ে
ঠেলে সন্তানের জন্ম দিচ্ছে চাঁদ, ঈশ্বরের মত, চোখের ভিতর থেকে।
তারাদের গিলে খাচ্ছে পুরনো, অজানা সাপ।
আহা! তারায় তারা জ্বলা রাত! এভাবেই
আমি মরে যেতে চাইঃ
রাতের বেপরোয়া জন্তুটার ভিতর,
ওই বিশাল ড্রাগন আমাকে শুষে খাবে, তারপর আমার জীবন থেকে আমাকেই
টুকরো করে ছুঁড়ে দেবে, চিহ্নহীন,
নেই পেট।
নেই কান্না।


মন্তব্যসমূহ

  1. তোমার অনুদিত কবিতা পড়লে ইচ্ছে হয় বলি, রমা তুমি যতটা পারো পূর্ণ কর এই শূন্যস্থান। অশেষ ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন
  2. ফেরদৌস নাহারের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমাদের আকুন্ঠ সমর্থন থাকলো আপনার এইরকম প্রচেষ্টায়। বিশ্ব সাহিত্যের সাথে আমাদের নাড়ীর বন্ধন আরো জোরদার হোক।

    আজকের কবিতায় অন্যরকম এক ফ্লেবার পেলাম। আমাদের বুঝে নিতে সাহায্য করছে, আমাদের অবস্থান। অনুবাদ সাহিত্যের জয় হোক।

    উত্তরমুছুন
  3. Henry Berbusse-এর বিখ্যাত L'enfer বা Hell বইটির পেছনমলাটে লেখা হয়েছিল ...pathologically preoccupied with...suffering. অ্যান সেক্সটনের ব্যাপারটাও তাই, সিলভিয়ার যেমনটা ছিল। এই প্রবণতা টেনেছিল আমাকে কেন কে জানে। খুব। তোমারও প্রিয় খুব জানিয়েছিলে। সুতরাং কাজটিও মনপ্রাণ ঢেলে করবে যে তা-ই স্বাভাবিক। তা-ই করেছ। আরও করে যাও। আলতাফ হোসেন।

    উত্তরমুছুন
  4. অসাধারণ, আর কিছু লেখার খুঁজে পাচ্ছি না।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন



কল্যাণী রমা-র জন্ম ঢাকায়। ছেলেবেলা কেটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভারতের খড়গপুর আই আই টি থেকে ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কমুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং-এ বি টেক করেছেন । এখন আমেরিকার উইস্কনসিনে থাকেন। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সিনিয়র ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কাজ করছেন ম্যাডিসনে।
প্রকাশিত বই -
আমার ঘরোয়া গল্প;
হাতের পাতায় গল্পগুলো – ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা;
রাত বৃষ্টি বুনোহাঁস – অ্যান সেক্সটন, সিলভিয়া প্লাথ, মেরি অলিভারের কবিতা;
মরণ হ’তে জাগি – হেনরিক ইবসেনের নাটক;
রেশমগুটি;
জলরঙ;
দমবন্ধ।